রাজনৈতিক নিপীড়নমূলক বেআইনি, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা বন্ধে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি নিয়ে কয়েকজন নেতা আজ বৃহস্পতিবার আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের সঙ্গে দেখা করেন। বিএনপির এ দলের নেতৃত্বে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
আইজিপিকে দেওয়া বিএনপির চিঠিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি পুলিশ কর্তৃক রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মিথ্যা মামলা দায়ের এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন চরমতম পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
একটি পত্রিকার প্রতিবেদন তুলে ধরে বলা হয়, ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিস্তারিত তথ্যসহ তালিকা প্রস্তুত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
চিঠিতে বলা হয়, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে সারা দেশের জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন মেডেল পর্যন্ত নেতা–কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ। কতিপয় অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তার বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা প্রত্যাশিত নয়।’
বিএনপির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত আগস্ট থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত গায়েবি ও মিথ্যা মামলা হয়েছে ১৬৯টি। সেখানে নাম ধরে আসামি করা হয়েছে ৬ হাজার ৭২৩ জনকে। বেনামে আসামি করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫০ জনকে।
কয়েকটি পত্রিকায় গায়েবি মামলাসংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে বলা হয়, ‘এসব খবরের মূল প্রতিপাদ্য হলো, চলতি মাসেই পুলিশ বাহিনী যে গায়েবি মামলা করেছে, সেসব মামলার সব আসামি বিএনপির নেতা-কর্মী, একই ঘটনায় দুই থানায় পৃথক মামলা হয়েছে, বাদী নিজেই জানেন না আসামির সংখ্যা কত, সাক্ষীও বিস্ফোরণ শুনেননি এবং ঘটনাস্থলের বাসিন্দারা কিছুই জানেন না।
মামলার বাদী পুলিশ কিংবা আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মী এবং অধিকাংশ মামলার অভিযোগ হুবহু এক।’
আইজিপির কাছে চিঠি দিতে আজ আরও যান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
আইজিপিকে চিঠি দিয়ে বেরিয়ে এসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আমরা আইজিপি মহোদয়ের কাছে কথাগুলো বলেছি। উনি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন।
বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় আমাদের নেতা-কর্মীদের যেভাবে হয়রানি করছে, গ্রেপ্তার করছে, সে বিষয় তুলে ধরেছি। বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের লোকজন বোমা ফাটিয়ে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।’