আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অনেকেই চিহ্নিত করেছে। তবে তাদের নিষিদ্ধ করার চিন্তা দলগতভাবে আওয়ামী লীগ এখনো করেনি। এখানে আদালতের বিষয় আছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি সন্ত্রাসী দল এটা কানাডার ফেডারেল আদালত রায় দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে তারেক রহমানের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এটা দিয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। আদালত জামিন দিয়েছেন। কাউকে জামিন দেওয়ার অর্থ এই নয়, তিনি অপরাধ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। মামলা তো আছে, মামলা চলবে।
মির্জা ফখরুল জামিনে মুক্ত হওয়ার পর এখন বিএনপির আন্দোলন বেগবান হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন বেগবান হতে হতে পতন হয়ে যাবে। তখন পতনের গভীর খাদ থেকে কে উদ্ধার করবে? আমরা তো প্রস্তুত, রাস্তায় সদা জাগ্রত প্রহরী শেখ হাসিনার জন্য।’
সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই করে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে।
যাচাই-বাছাইয়ের পর শাম্মীর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়েছে
দলের মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই করেই সংরক্ষিত মহিলা আসনে শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘একজনের নাগরিকত্ব নেই, প্রশ্ন উঠছিল। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আসতে সময় লেগেছে। নির্বাচনের চার দিন পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, তথ্যউপাত্ত সংঘটিত হয়। তখন তাঁকে নমিনেশন দিলেও বাস্তবে প্রতীক দেওয়া থেকে বিরত ছিল। কারণ, এটা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ ছিল।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসন থেকে শাম্মী আহমেদকে মনোনয়ন দিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে গিয়েও তিনি প্রার্থিতা ফিরে পাননি। তবে তাঁকে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন দিয়ে সংসদে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
সেই প্রসঙ্গ ধরে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, জনগণের ভোটে যাঁরা নির্বাচিত হতে পারেননি, তাঁদেরই সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়ায় জনগণের রায় উপেক্ষিত হলো কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দলের ব্যাপার, এটা আমাদের বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কোনটা সঠিক হবে, কোনটা বেঠিক হবে, এটা যাছাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘পুরুষের ব্যাপারে কোনো সুযোগ থাকে না। মহিলাদের ব্যাপারে সংরক্ষিত আসনে একটা সুযোগ আছে। এখানে জনগণের প্রত্যাখ্যানের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।