সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণে গণগ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা
সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণে গণগ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা

‘বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার দৃষ্টি ঘোরাতে চায়’

দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘোরাতে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গণগ্রেপ্তার করছে বলে এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁরা অবিলম্বে এ হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান। পাশাপাশি গভীর রাতে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুকে আটকের নিন্দা জানিয়ে তাঁর মুক্তি চান নেতারা।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের স্বাক্ষরিত এই বিবৃতি আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠান রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সারা দেশে শত শত ছাত্র-জনতাকে খুন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের অপপ্রয়াসের পর সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করে। ছাত্র-জনতা ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ সবার ওপর হওয়া হামলা, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’

উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিবৃতির মাধ্যমে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, ১২-দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীসহ মোট ১৪ জন নেতা স্বাক্ষর করেন।