নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় পার্টির (জাপা) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাপা থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আলাদা দুটি চিঠি গেছে। একটি পাঠিয়েছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। অন্যটি পাঠিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর লেখা চিঠিতে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক বলেছেন, সংসদ সদস্য পদে তাঁদের দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
অন্যদিকে রওশন এরশাদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টি বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি হবে শুধু নির্বাচনী জোট। নির্বাচন শেষে জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন। এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’ বা প্রার্থীর ইচ্ছা অনুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।
সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নিয়ে কোনো দল জোটভুক্ত দলের প্রতীক ব্যবহার করতে চাইলে তা তফসিল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করার বিধান আছে। গত বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে আজ শনিবার এই বিষয়ে ইসিকে জানানোর শেষ সময়।
অন্যদিকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীদের কার সাক্ষরে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তা রাজনৈতিক দলগুলোকে লিখিতভাবে ইসিকে জানাতে হয়। ইসি তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে এটি জানানোর জন্য দলগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে। এই চিঠির জবাবে জাপা মহাসচিবের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন তাদের দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ক্ষমতাপ্রাপ্ত হিসেবে জিএম কাদেরের নাম, পদবি ও নমুনা স্বাক্ষরও পাঠানো হয়।