বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনভীতি রোগে ভুগছে। সরকার জনগণকে ভয় পায় বলেই বিএনপির সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করছে। খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বাধা দিয়ে সরকার পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘ব্ল্যাক আউট বাংলাদেশ: লুটেরা আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ খাতকে বিলিয়নিয়ার তৈরির কারখানায় পরিণত করে অর্থনীতি ও জনজীবন সংকটাপন্ন করে তুলেছে’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীকাল শনিবার খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করা হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা রামদা, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খুলনায় গণসমাবেশ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যে বাসায় উঠেছেন, সেখানে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ রেড দিয়েছে। সেখান থেকে দলের ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে না। তারা সাধারণ মানুষের কথা ভাবলে গণসমাবেশ ঠেকাতে গণপরিবহন বন্ধ করত না। এই সরকার সবকিছু করতে চায় মানুষকে বাদ দিয়ে। তারা রাষ্ট্র চালাতে চায় মানুষকে বাদ দিয়ে। তারা নির্বাচন করতে চায় জনগণকে ছাড়া। জনগণ জেগে উঠলে ক্ষমতা ছাড়তে হবে—তারা সারাক্ষণ এই ভয়ে থাকে। এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
‘সরকার বিএনপির সমাবেশে বাধা তো দেয়ইনি; বরং প্রশাসনিক সহযোগিতা দিচ্ছে’—গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাব দেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এটি আওয়ামী লীগের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। তারা মুখে বলবে এক আর কাজ করবে আরেক।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খুলনার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে জীবনযাত্রা ব্যাহত করা হচ্ছে। খুলনার গণসমাবেশে যেন বাধা তৈরি না করা হয়, সে আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ।