বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামানের তিন দিনের রিমান্ড

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ঢাকা, ৬ নভেম্বর
ছবি: দীপু মালাকার

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা থানার মামলায় আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আজ সোমবার শামসুজ্জামানকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।

শুনানিতে শামসুজ্জামান আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমার বয়স হয়েছে। আমি সুস্থ নই। ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। কৃষক দলের সভাপতি ছিলাম। এখন আমি দলের ভাইস চেয়ারম্যান। মামলার কারণে এই আদালতে আমি প্রায়ই হাজিরা দিতে আসি। বাবাসহ আমার পরিবারের নয়জন সদস্য আইনজীবী।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বাসভবন আইনের শাসনের প্রতীক। আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, ভালো নির্বাচনের জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। দুর্ভাগ্য হলো যে সেদিন (২৮ অক্টোবর) ভাইস চেয়ারম্যানদের কেউ বক্তব্য দেননি। মহাসচিবের বক্তব্যের আগে জনসভা পণ্ড হয়ে যায়। ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। আমি কাউকে প্রতিপক্ষ করছি না। ৫০ বছর ধরে লড়াই–সংগ্রাম করছি।’

পুলিশের রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে শামসুজ্জামান আদালতকে বলেন, ‘রিমান্ড ছাড়াও তদন্ত হতে পারে। এই বিষয়টি বিবেচনার জন্য আবেদন করছি।’

শুনানি শেষে আদালত শামসুজ্জামানকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার গতকাল রোববার রাতে এক বার্তায় জানান, পুলিশ পরিচয়ে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল শামসুজ্জামানের বড় বোনের সেনানিবাসের বাসা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে দলটির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রায় আট হাজার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা রয়েছেন অন্তত সাতজন। সাবেক সংসদ সদস্যসহ জেলা ও মহানগর পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন অর্ধশতাধিক।