বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে সরকার ইশতেহার অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, যারা সরকারকে টেনে নামাতে চায়, বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে তারাও যুক্ত।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল চত্বরে রাঙ্গুনিয়া সমিতি, ঢাকা আয়োজিত সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলা ২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম, দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেটি আমাদের অগ্রাধিকার। এই সরকারের যাত্রার শুরু থেকে সেই অগ্রাধিকার নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব রকম ব্যবস্থা নেবে।’
ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, রোজার আগেই কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে, কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাজারের অসাধু সিন্ডিকেট নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। একটি হিমাগারের থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল। আবার যখন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলো, বাজারে পেঁয়াজ সয়লাব হয়ে গেল। তখন স্টোরেজ থেকে জমিয়ে রাখা পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা সরকারকে টেনে নামাতে চায়, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে তারাও যে যুক্ত, সেটিও সঠিক। তবে আপনারা দেখছেন, বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। কেবল পাইকারি বিক্রেতা না, খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যেও একটু বেশি মুনাফা করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।’
বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খানের ‘বর্তমান সরকার পরিবর্তন হবেই’—এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তো অবশ্যই পাঁচ বছর পর পরিবর্তন হবে। তখন দেশে নির্বাচন হবে, তারপর নতুন সরকার গঠন করা হবে। আশা করি, জনগণের ভোটে সেই সরকারেরও প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’