চাঁদাবাজদের মদদ না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আজ রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমার যাঁরা সহকর্মী আছেন, সংসদ সদস্য, তাঁদের কাছে আমার আবেদন—চলুন, আমরা এই একটা কাজে ঐক্যবদ্ধ হই। এখানে কোনো পয়সা খরচ করা হবে না। কোনো কিছু লাগবে না। শুধু আমরা প্রতিজ্ঞা করব, এদের (চাঁদাবাজ) মদদ করব না এবং যেখানে আমরা জানব, সেটা প্রতিহত করব। এই কাজটা করলে আমি মনে করি, বাংলাদেশ অনেকখানি বেঁচে যাবে।’
চাঁদাবাজি সমাজে একটি ‘সংস্কৃতি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, পণ্য পরিবহনে চাঁদা দিতে হয়। এটি যোগ হয় পণ্যের দামের সঙ্গে। বাড়ি করতে গেলে চাঁদা দিতে হয়, নাহলে তাদের রড, ইট, সিমেন্ট, বালু সরবরাহের কাজ দিতে হয়। গরিব হকারদের চাঁদা দিতে হয়, রিকশার স্ট্যান্ডে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদাবাজি ভয়ংকর ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ৩৫০ জন সংসদ সদস্য যদি এই প্রতিজ্ঞা করেন তাহলে হয়তো চাঁদাবাজি একেবারে নির্মূল হবে না, কিন্তু কমানো যাবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সামনে দুর্দিন আসবে।
অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক একটি পত্রিকার সংবাদ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম বিক্রির টাকা উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষকরা নানা হিসাবে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ অতীতের মতোই এই টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারার অংশ হতে চায়।
শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, এটি যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে মানুষকে জানান কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।