আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

সাকিব বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন কি না, জানি না: ওবায়দুল কাদের

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নির্বাচনের আগে কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে যোগদানের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি গণমাধ্যমে দেখেছি। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না। এখন সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করেছে, জয়লাভও করেছে। নমিনেশন চাওয়ার সময় সে দলের প্রাথমিক সদস্য হয়েছে। তার আগে তো সাকিব আমাদের দলের কেউ ছিল না।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শ্রমিক লীগ এবং কৃষক লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে বিএনএম গঠন করতে পেছন থেকে কাজ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। সাকিব আল হাসান সেই দলে যোগ দিয়েছিলেন। হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও সাকিবের একটি ছবিও প্রকাশিত হয়।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপিকে ভাঙার অভিযোগ এনেছেন দলটির এক নেতা। এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘“বিএনপি”কে আমরা কেন ভাঙতে যাব? আমাদের কি কোনো দুর্বলতা আছে যে বিএনপি থেকে লোক এনে সে ঘাটতি পূরণ করতে হবে? আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী আছে। গত নির্বাচনে দেখেছেন প্রার্থিতা ফরম নিতে কত ভিড়। আওয়ামী লীগে কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।’

গত জাতীয় নির্বাচনে কিংস পার্টির সৃষ্টি নিয়ে সরকারের ভূমিকা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি, এ সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আমরা প্রত্যেককে রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখি। নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন দেয়।’

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মানদণ্ড নিয়ে মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদণ্ড আছে। পৃথিবীর কেউ পারফেক্ট নয়। আমরাও সেই দাবি করি না। আমেরিকার এক সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি নির্বাচিত না হলে রক্তবন্যা বয়ে যাবে। এটা কোন গণতন্ত্র? নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেয়নি। কাজেই মানদণ্ড বোঝা মুশকিল।’

যুক্তরাষ্ট্রের দুই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) যৌথ কারিগরি পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সহিংসতা, রাজনৈতিক মেরুকরণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার কারণে বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে ১৬ মার্চ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বেঁধে দেওয়া কিছু পণ্যের দাম এরই মধ্যে কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। অপেক্ষা করুন। চেষ্টা করলে ফল পাওয়া যাবে।’

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।