বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, জনগণ হচ্ছে একটি দেশের সরকারের ভিত্তি। জনগণের ভিত্তি আজকে সরে গেছে। আওয়ামী লীগ শূন্যের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। যেকোনো মুহূর্তে এই সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই সভার আয়োজন করে।
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করে দিতে চাই, এই ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে সরকার চরমভাবে পরাজিত হয়েছে। কারণ, তাদের পায়ের নিচে মাটি সরে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন, এই সরকার কি আরও পাঁচ বছর থাকবে? আমি উত্তরে বলি, ১৯৯০ সালের শেষে যেদিন এরশাদ সরকার এই দেশ থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছিল, তার এক দিন আগেও কি সেই সরকার জানত তাদের এভাবে চলে যেতে হবে? জানত না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি এই দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের আন্দোলনের প্রক্রিয়া হবে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক। আমরা নিয়ম–নীতিতে বিশ্বাস করি। বিএনপি লগি-বইঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির এটাই হচ্ছে পার্থক্য।’
মঈন খান বলেন, বিএনপির আন্দোলন ক্ষমতার জন্য নয়। বিএনপি ক্ষমতার আন্দোলনে বিশ্বাস করে না। বিএনপি জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে। বিএনপি আন্দোলনে আছে জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, জয়নাল আবেদিন, বিএনপির আইনজীবী ফোরামের নেতা জয়নুল আবেদিন, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহাম্মদ খান প্রমুখ।