জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘সিন্ডিকেট’ এখন এত শক্তিশালী হয়ে গেছে যে তারা প্রতিদিন সকালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এই সিন্ডিকেট সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয় কী করে?
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসেদ অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ প্রশ্ন তোলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দেশে সরবরাহের অভাব নেই। যেটা হচ্ছে সেটা সিন্ডিকেট, এটা চিহ্নিত, এটার ওপর প্রতিবেদন আছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বৈঠকে মাংসের দাম কমানোর বৈঠকে তারা মারপিট করেছিল। কোনো দোকানদার কম দামে বিক্রি করলে সরবরাহকারী সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এত শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, চিনি, ডিম, তেল, মাংস, তাজা শাকসবজির দামও বাড়িয়ে দেয় সিন্ডিকেট। এটি নিয়ে গোয়েন্দা ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিবেদনও আছে। তারা জানে কারা এটা করছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা এখনো দেখা যায়নি। সরকার যদি শক্ত হাতে তাদের দমন না করে, তাহলে আগামী রমজানে সিন্ডিকেট পণ্যের দাম বাড়াবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এনবিআর থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য। আশা ছিল জিনিসপত্রের দাম কমবে। কিন্তু দাম কমেনি। বরং কিছুদিন আগে হঠাৎ করে চিনির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য সেদিন সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। কিন্তু সেটার সুযোগ নিয়ে চিনির সিন্ডিকেট চিনির দাম বাড়িয়ে ১৬০ টাকা করে। অথচ পাশের দেশ ভারতে চিনির দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা। সেখানে ডলারের মূল্য ধরলে এটা ৭০ টাকার বেশি ওঠে না। পাশের দেশে যেখানে ৭০ টাকা, এখানে ১৬০ টাকা হওয়ার কোনো কারণ নেই।