ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কার্যত ফাঁকা হয়ে গেছে। কার্যালয়ে সামনের এলাকাসহ আশপাশের সব মোড়ে রায়ট কার (দাঙ্গা দমনে ব্যবহৃত গাড়ি) নিয়ে অবস্থান করছে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের একটি দল কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান করছে। সড়কের উল্টোপাশে রয়েছে রায়ট কার। কার্যালয়ের মূল ফটকের একটি অংশ খোলা রয়েছে।
এদিকে আজ সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুমতির ভিত্তিতেই আইনসম্মতভাবে সমাবেশ করা হচ্ছিল। কিন্তু এই সমাবেশে পরিকল্পনা করে বেআইনিভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এই বেআইনি সরকার, অবৈধ সরকার সব জায়গায় এমন বেআইনি কাজ করছে।
সন্ধ্যা ৭টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৪/৫ জন নেতা অবস্থান করছিলেন।
সন্ধ্যার আগে কাকরাইল মোড় এলাকায় একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। অদূরেই ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। বাসে আগুনের পর কাকরাইল মোড়, পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, নটর ডেম কলেজের সামনের সড়কসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যকে অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে।