ফিলিস্তিন বিষয়ে সরকারের বিবৃতি দ্বিচারিতা: নুরুল হক

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন নুরুল হক। সমাবেশের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, ১৩ অক্টোবর
 ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে সরকারের দেওয়া বিবৃতি দ্বিচারিতামূলক বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের (নুরুল-রাশেদ) সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, সরকার দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতির কথা বলেছে। এখানে তো দুই পক্ষ যুদ্ধ করছে না। যুদ্ধ বন্ধ করলে ইসরায়েলকে বলতে হবে। সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতা করেছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশে নুরুল হক এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ।

নুরুল হক বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধজাহাজ, বিমান, অস্ত্রে সুসজ্জিত বাহিনী নিয়ে ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। যখন ফিলিস্তিনিরা আত্মরক্ষার্থে প্রতিরোধ করছে, তখন আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম সেটাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে প্রচার করছে। বিশ্ব সম্প্রদায়কে এই একপক্ষীয় চশমা পরিহার করে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে হবে।

নুরুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পিটার হাস কিছু করতে পারবে না। আমেরিকার মুরব্বিদের সঙ্গে বোঝাপড়া হয়ে গেছে। এর আগে বলেছেন, দিল্লি তাদের সঙ্গে আছে; অর্থাৎ আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে তলেতলে এসব সমঝোতা করেছে।

সরকার সাজানো নির্বাচনের চেষ্টা করছে দাবি করে নুরুল হক বলেন, ‘নির্বাচন করে ফেললে আবারও তারা ৫ বছরের জন্য জনগণের ওপর চেপে বসবে। কাজেই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য  অক্টোবরেই গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে এদের বিদায় করতে হবে।’

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একদিকে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে, অন্যদিকে ইসরায়েল থেকে মনিটরিং ডিভাইস ক্রয় করছে। তলেতলে আপস করে ভারত ও ইসরায়েলের সহযোগিতায় এই সরকার আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়।

প্রেসক্লাবের সামনে সংহতি সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পল্টন, পানির ট্যাংকি, নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পানির ট্যাংকি মোড়ে এসে শেষ হয়। গণ অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম, আবদুজ জাহের, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।