সিলেটে দুটি কেন্দ্রে ইভিএমের কারণে ভোট গ্রহণে সময় লাগছে

বালুচর-কাদার মধ্যে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার অপেক্ষা। বালুচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, সিলেট
ছবি: নূরুল আমিন

সিলেটের শাহ পরান থানা এলাকার বালুচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে বসে ছিলেন সত্তোরোর্ধ্ব জায়েদা খাতুন। সকাল ৭টায় এসে সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন, ৯টা বেজে গেলেও ভোট দিতে পারেননি তিনি। জায়েদা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত লাগছে তাই একটু বসে বিশ্রাম নিচ্ছি। সকালে এসে দাঁড়িয়েছি, এখনো ভোট দিতে পারিনি।’

একই কেন্দ্রে গাড়িচালক খসরু মিয়াও সকাল সাতটায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টির কারণে মাঠে পানি জমে কাদা হয়ে আছে। ভোট গ্রহণে দেরি হওয়ায় কাদার মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর।

ভোটার ও নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটার উপস্থিতি ভালো থাকলেও ইভিএমে (ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন) অভ্যস্ত না হওয়ার কারণে ভোট গ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে। বালুচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং কর্মকর্তা) মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৮১১ জন। প্রথম এক ঘণ্টায় কতজন ভোট দিয়েছেন, এখনো হিসাব করে দেখা হয়নি।

কদমতলী মাঠে জমেছে কাদা-পানি। এরপরও ভোট দিতে আগ্রহের কমতি নেই ভোটারদের। সকাল সাড়ে ৯টা, কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, সিলেট

সিলেট সরকারি মডেল স্কুলের কেন্দ্র ঘুরেও ভোট গ্রহণে ধীরগতি দেখা গেছে। এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সরেজ কুমার হালদার প্রথম আলোকে বলেন, ইভিএমের কারণে ভোট গ্রহণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে ইভিএমে ভোট দিতে ভোটারদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

রাজমিস্ত্রির কাজ করেন ইমরান হোসেন। জীবনে প্রথম ভোট দিতে পেরে খুশি ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুই থেকে তিন মিনিট সময় লেগেছে তাঁর। ভোট দিতে কোনো সমস্যা হয়নি।

আজ বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিলেটের ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এখানে মেয়র পদে ৮ জন এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।