বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) বলেছে, পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে সরকারি দলের নেতা–কর্মীদের লাঠিসোঁটা হাতে অবস্থান ও বিরোধীদের ওপর হামলা করে পুরো পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলা হয়েছে। দলটি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের মুক্তিরও দাবি জানিয়েছে।
আজ রোববার সিপিবির এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলাসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ওই বিবৃতিতে বলেন, একাত্তরের ঘাতক রাজনৈতিক দল জামায়াত গতকাল বাধাহীনভাবে সমাবেশ করলেও বিএনপির মহাসমাবেশ ভন্ডুল হয়েছে। পল্টনে ছাত্রদের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর নিন্দা জানিয়ে সিপিবি বলেছে, বাধাহীনভাবে সভা–সমাবেশ, হরতাল, অবরোধ সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার হরণ করে অতীতে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, আগামী দিনেও পারবে না।
সিপিবি বলছে, বিরোধী মত দমনে সরকারের স্বৈরাচারী আচরণ নানা অপশক্তিকে সুযোগ করে দেবে। দেশে অসাংবিধানিক শক্তির ক্ষমতা দখলের পথ পরিষ্কার করবে, যা দুঃশাসনকে আরও দীর্ঘায়িত করবে। চলমান পরিস্থিতিতে একাত্তরের ঘাতক চক্র ও দেশি-বিদেশি অপশক্তির তৎপরতা সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বানও জানিয়েছে সিপিবি।
বিবৃতিতে সিপিবি বলেছে, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে জনগণ অতিষ্ঠ। ভোটাধিকার হরণ করে আরও একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে চাইছে। এই সরকারের পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে এখনই আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।