বিএনপি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য জল ঘোলা করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ অভিযোগ করেন।
কয়েক দিন ধরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও তাঁর চিকিৎসা নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে মির্জা ফখরুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বিবৃতি দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুনির্দিষ্ট আইন দ্বারা নির্ধারিত বিষয়ে লজ্জাহীনভাবে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন। বিএনপি তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও ক্রমাগতভাবে সীমাহীন মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলেও বিবৃতিতে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন না এবং তাঁর বিদেশ গমনে আদালতের কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা ছিল না। শেখ হাসিনা সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত সব মামলার জামিন পাওয়ার পর এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করতে গিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাঁর সাজা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁকে আদালতের শরণাপন্ন হতেই হবে। বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ারাধীন এবং এ বিষয়ে রাজনীতি করার কারও কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।