দলের ‘নীতিবিরোধী’ সেই ওলামা লীগকে কাছে টেনে নিল আওয়ামী লীগ

  • বিতর্কিত নানা দাবি তোলায় ২০১৭ সালে ওলামা লীগের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

  • ২০১৯ সালে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলে আওয়ামী লীগ।

  • এখন ‘সমমনা’ সংগঠনের মর্যাদা চায় ওলামা লীগ।

  • মূল লক্ষ্য জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করা ও বিরোধীদের আন্দোলন ঠেকানো।

রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওলামা লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঢাকা, ২০ মে

বিতর্কিত নানা দাবি উপস্থাপন ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের পটভূমিতে ছয় বছর আগে আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের তৎকালীন দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ওলামা লীগের কার্যক্রম দলের ‘নীতিবিরোধী’। তবে আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘বাতিল’ করে দেওয়া সেই ওলামা লীগকে আবার ‘আপন’ করে নিল আওয়ামী লীগ।

আগে এটি ছিল ক্ষমতাসীনদের ‘সমর্থক’ সংগঠন। এবার ‘সহযোগী’ না হলেও অন্তত ‘সমমনা’ সংগঠনের স্বীকৃতি চাইছে ওলামা লীগ। তবে ধরন যা-ই হোক না কেন, ওলামা লীগ ক্ষমতাসীনদের সংগঠন বলে স্বীকৃতি পেয়ে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ওলামা লীগের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগের এতটা আগ্রহ নেই। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো যে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে, এর বিরুদ্ধে সংগঠনটিকে কাজে লাগানো যাবে।

সূত্রমতে, আগামী কয়েক মাস বিরোধীদের আন্দোলনে রাজপথ উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। এ জন্য দলের প্রায় সব বহিষ্কৃত নেতাকে গত জানুয়ারি মাসে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। ইসলামপন্থী বিভিন্ন দল যাতে বিএনপির দিকে ঝুঁকে না পড়ে, সে জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। দলের আদর্শ-গঠনতন্ত্রবিরোধী নানা দাবি উত্থাপন ও নিজেদের মধ্যে মারামারি করে বদনাম কুড়ানো ওলামা লীগকেও কাছে টেনে নেওয়া হয়েছে সেই একই কারণে।

সূত্রমতে, আগামী কয়েক মাস বিরোধীদের আন্দোলনে রাজপথ উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। এ জন্য দলের প্রায় সব বহিষ্কৃত নেতাকে গত জানুয়ারি মাসে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। ইসলামপন্থী বিভিন্ন দল যাতে বিএনপির দিকে ঝুঁকে না পড়ে, সে জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। দলের আদর্শ-গঠনতন্ত্রবিরোধী নানা দাবি উত্থাপন ও নিজেদের মধ্যে মারামারি করে বদনাম কুড়ানো ওলামা লীগকেও কাছে টেনে নেওয়া হয়েছে সেই একই কারণে।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও তা যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়, সে জন্য ইসলামপন্থীসহ অন্যান্য ছোট দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তবে বিএনপিসহ বিরোধী দল ভোট প্রতিহত করার জন্য মাঠে নামবে। এ ক্ষেত্রে ওলামা লীগ সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজে লাগবে।

‘সমমনা’ সংগঠনের মর্যাদা পেতে পারে ওলামা লীগ

২০১৯ সালে ক্রিকেটের আসর বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) নিষিদ্ধ এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বাতিলের দাবি তোলার পর ওলামা লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানানো হয়। আওয়ামী লীগের তৎকালীন দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে তখন বলা হয়, ওলামা লীগের কার্যক্রম আওয়ামী লীগের নীতিবিরোধী। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আহ্বান জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

২০১৯ সালে ক্রিকেটের আসর বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) নিষিদ্ধ এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বাতিলের দাবি তোলার পর ওলামা লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানানো হয়। আওয়ামী লীগের তৎকালীন দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে তখন বলা হয়, ওলামা লীগের কার্যক্রম আওয়ামী লীগের নীতিবিরোধী। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আহ্বান জানানো হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

এর আগে ২০১৭ সালের ২২ মে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর একটি সভায় ওলামা লীগের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে দলটির তৎকালীন ধর্মবিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ওলামা লীগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। ইসলামি ব্যক্তিত্বদের নিয়ে একটি নতুন সংগঠন গঠনের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে নতুন সংগঠনের উদ্যোগ আর এগোয়নি; যদিও এরপরও ওলামা লীগের নামে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে নানা ‘উদ্ভট’ দাবি তোলার বিষয়টি অব্যাহত ছিল।

গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সেই আওয়ামী ওলামা লীগের প্রথম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির বর্তমান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান।

এর আগে ওলামা লীগ দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। তাদের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, এমনকি মন্ত্রীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়। এই প্রথমবার জাতীয় কাউন্সিলে দলের সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হলেন। কাউন্সিলে সংগঠনের আগের সক্রিয় নেতাদের মধ্যে প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদার ছিলেন ৩০ থেকে ৩৫ জন। তবে শেষ পর্যন্ত দ্বন্দ্ব এড়াতে পরে কমিটি ঘোষণা করার কথা জানিয়ে সম্মেলন শেষ করা হয়।

সম্মেলনের পর সাংবাদিকেরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান, ওলামা লীগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হবে, নাকি সমমনা হবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা নেত্রীই (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ঠিক করবেন।’
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, ‘সহযোগী’ সংগঠনের মর্যাদা দিতে হলে গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে হবে। এ জন্য ওলামা লীগের নেতারা আপাতত ‘সমমনা’ সংগঠনের মর্যাদা চাইছেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা এ ব্যাপারে তাঁদের আশ্বস্তও করেছেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ওলামা লীগকে দলের মধ্যে নিয়ে আসার বিষয়টি শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে হয়েছে। বিভক্ত অংশগুলোকে এক করে প্রস্তুত করার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আবদুস সোবহান কাজ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিয়েই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে উল্লেখ করে আবদুস সোবহান ওলামা লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এত দিন ওলামা লীগ বিভিন্ন ধারায় চলেছে, বিতর্কিতভাবে চলেছে। শেখ হাসিনার সরকার যে কথা বলবে, তার সঙ্গে মিলিয়ে আপনাদের কথা বলতে হবে।’

বর্তমানে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে আছে মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ। সমমনা সংগঠন হিসেবে পরিচিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগসহ কয়েকটি সংগঠন। সমমনা সংগঠনগুলোকে সহযোগী করার চিন্তা আছে।

আওয়ামী লীগের মূলনীতির সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ড’

১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যুক্ত হতে শুরু করে আওয়ামী ওলামা লীগ। ধীরে ধীরে দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি নিজেদের আলাদা কর্মসূচিও পালন করা শুরু করে সংগঠনটি। এমনকি ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত নানা আন্দোলন কর্মসূচিতে তারা সক্রিয় ছিল। একপর্যায়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয় সংগঠনটি। দুটি অংশই রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে তাদের দলীয় কার্যালয় হিসেবে উল্লেখ করত।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাÿতথা সব ধর্মের সম-অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং সমাজতন্ত্র তথা শোষণমুক্ত সমাজ ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মূলনীতি।’ আর গঠনতন্ত্রে দলটির অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়িয়া তোলা।’

কিন্তু ওলামা লীগ ধীরে ধীরে এই মূলনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে শুরু করে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে পাঠ্যপুস্তক বাতিলের দাবি তোলে ওলামা লীগ। তাদের বক্তব্য ছিল, একটি মুসলিম রাষ্ট্রে পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসের নামে ইসলামবিরোধী ও মুসলমানদের ইমানে ও হৃদয়ে আঘাত করার মতো শব্দ, ঘটনা ও বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করে কুফরি সিলেবাস চালু করা হয়েছে। কট্টর ইসলামবিরোধী হিন্দু ও নাস্তিক লেখকদের লেখাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এর আগেও তারা একই দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে।

পরে একই বছরের ১০ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আরেক মানববন্ধনে ওলামা লীগের একাংশ বাংলাদেশের সর্বজনীন উৎসব পয়লা বৈশাখকে ‘অনৈসলামিক ও হারাম’ বলে ঘোষণা করে। ২০১৭ সালের ৪ মার্চ বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বাতিলসহ ছয় দফা দাবি জানায় ওলামা লীগ। ওই দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন সুপ্রিম কোর্টের সামনের গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণের দাবি তোলে। ২০১৯ সালে বিপিএল বাতিলের দাবি তোলে।

এ ছাড়া সংগঠনটি বিভিন্ন সময় বাল্যবিবাহ নিরোধে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিষিদ্ধ করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন না করা, বিপিএল নিষিদ্ধসহ নানা দাবিতে কর্মসূচি পালন করে। কখনো কখনো গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েও তারা এসব দাবি করেছে।

ওলামা লীগ যেসব দাবিদাওয়া তুলে ধরেছে, এর প্রায় সব কটিই হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকেও করতে দেখা গেছে। সমালোচনা শুরু হলে আওয়ামী লীগের নেতারা বলতে শুরু করেন, ওলামা লীগ আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠন নয়। এটি ভুঁইফোড় সংগঠন।

আনোয়ার হোসাইন ওলামা লীগের একটি অংশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এবার তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। ওলামা লীগ আগের বিতর্কিত দাবি থেকে সরে এসেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ও মূলনীতি মেনে চলবেন বলে তাঁরা অঙ্গীকার করেছেন।

আন্দোলন ঠেকানোর প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওলামা লীগের দুই অংশ মারামারিতে জড়ায়। এর আগের মাসে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি প্রয়াত ইলিয়াস বিন হেলালীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক নানা বক্তৃতা ও পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপন বন্ধের দাবির পর আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা বিরক্ত হন। ফলে ওলামা লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের সুতা ঢিলা হতে শুরু করে।

ছয় বছর পর সেই পরিস্থিতির বদলে গেল। আবার একই নামে ও আগের নেতাদের নিয়েই নতুন করে ওলামা লীগের যাত্রা শুরু হলো। তবে ওলামা লীগের একাধিক নেতার ভাষ্য, সংগঠনের মধ্যে এখনো নেতৃত্বের বিরোধ প্রকট। সংগঠনের চরিত্র ও নেতাদের কর্মকাণ্ড কতটা বদলাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে এবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সম্পৃক্ত হওয়ায় এবং তাদের নিয়মিত তদারকি থাকলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটতে পারে বলে ওই নেতারা মনে করছেন।

নেতারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আন্দোলনে ওলামা লীগ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। এবার সরকারে থেকে বিরোধীদের আন্দোলন ঠেকাতে তাঁদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।