সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আবারও একতরফা নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, এবারও মানুষের ভোটের অধিকার ক্ষুণ্ন করতে চাইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বুধবার বিকেলের সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে পদযাত্রা করেন নেতা–কর্মীরা। পদযাত্রা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার পরপর দুবার মানুষের ভোটের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। এবার আর সে সুযোগ নিতে পারবে না। আর এই কারণেই তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) এসেছে।
ভিসা নীতি কার্যকর হয়েছে, তাতেই রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, এখন যে পরিস্থিতি তাতে প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা। তা না হলে বিদায় হবে ভয়ানক ও দুঃখজনক।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি অভিযোগ করেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একতরফা নির্বাচনের নীলনকশার ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এ ষড়যন্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহামুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাস নাইন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।