নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের কাছে নাম চেয়েছে অনুসন্ধান কমিটি। ৭ নভেম্বর বিকেল পাঁচটার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সর্বোচ্চ পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করা যাবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ আগ্রহী হলে তাঁরাও নিজ নিজ নাম প্রস্তাব করতে পারবেন।
আজ রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে নাম চাওয়ার এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই দিনে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বৈঠকে বসে অনুসন্ধান কমিটি। প্রসঙ্গত, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করছে।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করে সরকার।
আইন অনুযায়ী, এই কমিটি নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতি পদের বিপরীতে দুজন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। আইনানুযায়ী অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের এই সুপারিশ দেওয়ার কথা।
অনুসন্ধান কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) এবং পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তার পরদিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকেই পদত্যাগ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ৫ সেপ্টেম্বর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনও পদত্যাগ করে। এই কমিশন শপথ নিয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি।