রাজধানীর গোলাপবাগে শনিবার বিএনপির সমাবেশকে মর্যাদা রক্ষা ও দলীয় শক্তি প্রদর্শনের কর্মসূচি হিসেবে ভাবছেন দলটির কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, এই সমাবেশ সফল করে তাঁরা দেখিয়ে দিতে চান, দলের শীর্ষ নেতাদের ছাড়াও সমাবেশ সফল করা যায়।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী পরিচয়ে সাব্বির আহমেদ নামের একজন বলেন, এই সমাবেশ বিএনপির মর্যাদার প্রশ্ন। আগের যেকোনো সমাবেশের চেয়ে বেশি লোকসমাগম করতে চান তাঁরা। তাঁর প্রত্যাশা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যেভাবে নেতা–কর্মীরা আসছেন, তাতে সকাল নাগাদ এই মাঠে জায়গা হবে না।
রাত সাড়ে নয়টায় মাঠে ঘুরে দেখা যায়, লোকসমাগম সন্ধ্যার চেয়ে বেড়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। মাঠের চারপাশে টানানো হয়েছে নানা আকৃতির ব্যানার। সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। সাউন্ড সিস্টেম নিয়েও কাজ করছেন কয়েকজন। মাঠের পশ্চিম অংশে বসে আছেন কয়েক শ নেতা–কর্মী। মাঠের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছেন এর চেয়েও বেশি মানুষ। কেউ চাটাইয়ে, কেউ মাটিতে বা ঘাসে বসেছেন, কেউ মোটা প্লাস্টিকের কাগজকে বানিয়েছেন অস্থায়ী আসন। সমবেত নেতা–কর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
মাঠের দক্ষিণ কোণে চাটাই পেতে নেতা–কর্মীদের নিয়ে বসে আছেন চকবাজার যুবদলের সদস্যসচিব নাজিম উদ্দিন। তিনি বললেন, সমাবেশের খবর পেয়েই নেতা–কর্মীদের নিয়ে গোলাপবাগ মাঠে এসেছেন। সফল সমাবেশের প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, সারা রাত এখানেই থাকবেন সমাবেশ শেষ করে বাড়ি ফিরবেন।
চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে গোলাপবাগে এসেছেন লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গোলাপবাগে সমাবেশ হবে তা তিনি আগে জানতেন না। তবে ঢাকার কোথাও না কোথাও সমাবেশ হবে, এ বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন। তাই আগেভাগেই চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়েছিলেন।
পথে তিন জায়গায় পুলিশ তাঁদের তল্লাশি করেছে। কুমিল্লায় একটি তল্লাশিচৌকিতে আধা ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখেছিল, তবে কাউকেই আটক করেনি।
এই সময় মাঠের দক্ষিণ পাশে ধুপখোলা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রাস্তায় গোল হয়ে বসে স্লোগান দিতে দেখা যায় পল্টন থানা যুবদল ও সবুজবাগ থানা যুবদলের নেতা–কর্মীদের।
বিএনপির সমর্থক পরিচয় আরমান হোসেন নামের একজন বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমাদের এই সমাবেশ সফল করতে হবে। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, শীর্ষ নেতারা না থাকলেও কর্মসূচি সফল করা যায়। বিএনপির স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দল কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করে কর্মসূচি বন্ধ করা যাবে না।’