চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিচার দাবি করেছেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা৷ যৌন নিপীড়নের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ জড়িত বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, অবিলম্বে এ ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধনে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হেনস্তার বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়৷
মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শিমুল কুম্ভকার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত রোববার এক ছাত্রীকে খুব জঘন্য ও ন্যক্কারজনকভাবে নিপীড়ন ও হেনস্তা করা হয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি এবং অভিযুক্ত পাঁচ নিপীড়ককে খুঁজে পাচ্ছেন না৷ এর কারণ হচ্ছে, এ ঘটনার সঙ্গে সরকারদলীয় ছাত্রলীগের ছেলেরা যুক্ত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিও (রেজাউল হক) এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপরাধীদের খুঁজে পাচ্ছে না। ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ দিতে গেলে তাঁকে নিরুৎসাহিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
শিমুল কুম্ভকার আরও বলেন, পদ্মা সেতুতে টিকটককারীকে এক ঘণ্টার মধ্যে ধরে ফেলা হয়, কিন্তু একজন নারী শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের শিকার হলে অপরাধীকে খুঁজে পায় না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন বা রাষ্ট্র। অতিসত্বর এ ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সুহাইল আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাদ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর নেতা জাবির আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি আন্দোলন) নেতা আরমানুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত রোববার রাত সাড়ে ৯টায় চবি ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর ভাষ্যমতে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পোশাক ও কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণ ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়।