আরেকটি পাতানো নির্বাচনের নীলনকশা অনুযায়ী গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের নতুন সংশোধনী আনা হয়েছে, এই অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, আরপিও সংশোধন করে ভোট বাতিলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে।
আজ শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) নতুন সংশোধনীর বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, আরেকটি ভোট ডাকাতির নির্বাচন করতেই সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করেছে। এই সংশোধনী সরকার ও সরকারি দলের নির্বাচনী জালিয়াতির রাস্তা আরও প্রশস্ত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আরপিও সংশোধনীর মাধ্যমে যেকোনো অনিয়মের কারণে নির্বাচন কমিশনের ভোট বন্ধ রাখার যে ক্ষমতা ছিল, তা কেড়ে নেওয়া হলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বাড়তি সুবিধা দিতে এবং জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতেই এই সংশোধনী আনা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নানা দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। আরপিওর সংশোধনী এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দায়িত্ব দিয়েছে, আইপিওর এই সংশোধনী তারও পরিপন্থী। এর মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের হাত-পা বেঁধে ফেলা হলো।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘এই ভোট ডাকাত সরকারকে দেশের মানুষ আর বিশ্বাস করে না। এদের বিদায় করা ছাড়া ভোটের অধিকার আদায় করা যাবে না।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আরপিও সংশোধন করাসহ নানা কৌশল সরকার নিচ্ছে। কিন্তু কোনো কৌশলেই এবার সরকারের রক্ষা হবে না।
আরপিও সংশোধনীর কারণে সরকারের নির্বাচনী ‘তামাশা’ নতুন চেহারা নেবে বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, সব কেন্দ্রে কারচুপি করলেও সরকার কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে দেখাতে চাইবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া সমন্বয়ক হাসিব উদ্দিন হোসেন প্রমুখ।