অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা–কর্মীরা। এরপর হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা, ২৯ নভেম্বর
অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা–কর্মীরা। এরপর হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা, ২৯ নভেম্বর

বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক গণতন্ত্র মঞ্চেরও

বিএনপির পর গণতন্ত্র মঞ্চও আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে। একতরফা নির্বাচন আয়োজনের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে জোটভুক্ত দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আজ বুধবার দুপুরে চলমান অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন মঞ্চের নেতা–কর্মীরা। মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি হরতালের ঘোষণা দেন।

সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যে নির্বাচনের আয়োজন করেছে তা শুধু একতরফাই নয়, রীতিমতো ভাগ-বাঁটোয়ারার নির্বাচন। তাদের আগেকার নির্বাচনী জোট শরিকেরা পর্যন্ত এবার তাদের ওপরে আস্থা রাখতে পারছে না। তারা আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমঝোতা চাচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ডামি প্রার্থী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব ঘটনায় পরিষ্কার হয়েছে, সরকার এই ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনের ভেতর দিয়ে দেশকে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির ভেতরে ঠেলে দিয়েছে।’

সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার দেশে ফিলিস্তিনের গাজার চাইতেও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তাদের লোকেরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের তুলে নিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সাইফুল হক আরও বলেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বামপন্থী দল, ইসলামপন্থী দল, শ্রমিক দলসহ অন্তত ৫০টি কার্যকর বিরোধী দল এ নির্বাচন বর্জন করেছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার ফেরত দিতে হবে। এই একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। বিরোধী দল দমনের নামে মানুষের ওপরে নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি ফিরোজ মিয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।