বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনসম্মুখে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক। একই সঙ্গে ‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সম্পূরক হলফনামা (অ্যাফিডেভিট) আকারে আদালতে দাখিল করা বক্তব্যে তিনি এমনটা উল্লেখ করেছেন।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বুধবার সম্পূরক ওই হলফনামা দাখিল করেন নুরুলের আইনজীবী। আদালত শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
নুরুল হকের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এক সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে নুরুল হক আপত্তিকর বক্তব্য দেন। বিষয়টি উপস্থাপিত হলে গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ তাঁর প্রতি আদালত অবমাননার রুল দেন। বিচারক ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে নুরুল হককে ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ধার্য তারিখে তিনি আদালতে হাজির হন। সেদিন নুরুলের আইনজীবী অ্যাফিডেভিট (হলফনামা আকারে লিখিত বক্তব্য) দাখিল করবেন বলে সময় চান। আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন। ধার্য তারিখে অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে হলফনামা আকারে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন। সেদিন শুনানিতে সম্পূরক হলফনামা দাখিলের জন্য নুরুলের আইনজীবী সময়ের আরজি জানালে আদালত ৬ মার্চ দিন রাখেন।
এ অনুসারে আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে। আদালতে হাজির ছিলেন নুরুল হক। তাঁর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী কায়সার কামাল ও মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাঈনুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে ও বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনসম্মুখে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন উল্লেখ করে সম্পূরক হলফনামা আকারে বক্তব্য দাখিল করেছেন নুরুল হক। আদালত তা নথিভুক্ত করেছেন। রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন। সেদিন নুরুল হককে আদালতে হাজির হতে হবে।