ভারতের বৃহৎ ব্যবসায়ী গ্রুপ আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চুক্তির সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আদানির সঙ্গে চুক্তি দেশবিরোধী, গণবিরোধী। এ চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ‘মহাবিপর্যয়ে বিদ্যুৎ খাত: গভীর খাদে অর্থনীতি’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজক অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) আইন বাতিল করতে হবে। এ খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব দুর্নীতির তদন্ত করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার সর্বোচ্চ লুটের জন্য পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতকে বেছে নিয়েছে। আদানির সঙ্গে চুক্তি শুধু অসম নয়, দুরভিসন্ধিমূলকও। বিভিন্ন দেশে এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন চুক্তিতে কীভাবে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করল?’
চুক্তিটিতে রাজনৈতিক উপাদান আছে বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি হয়েছে ২০১৭ সালে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে। সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পার্লামেন্টে বলা হয়েছে, এটা কি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে?’
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আখের গোছানোর জন্য শুধু বিদ্যুৎ খাত নয়, সব খাতে দুর্নীতি করছে। তারা টাকা দিয়ে নির্বাচন কিনে নেবে। যাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করেন, তাঁদের সবার কাছে তারা নগদ টাকা পৌঁছে দেয়। নির্বাচন কমিশন এটা স্বীকার করতে চায় না।
প্রতি নির্বাচনে সরকার নতুন নতুন কৌশল বেছে নেয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, এ সরকার খুব সৃজনশীল। এবার পুলিশ বাদ দিয়ে আনসার ভিডিপি ব্যবহারের কৌশল নিয়েছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কোনো কিছু তারা করতে পারে না। ১৪ বছর ধরে প্রতারণা করে যাচ্ছে। একটা দিন ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল জনগণের, সেটাও তারা কেড়ে নিয়েছে।