ভিসা পাওয়ার পরও কতজন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে বলেছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রণালয় জানায়, মালয়েশিয়ায় কর্মী যেতে না পারার ঘটনাটি তদন্তে গঠিত কমিটি গত ২৪ জুন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে তা পূর্ণাঙ্গ নয়। এটি আরও পর্যালোচনা করা হবে। অংশীজনদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। তবে যেভাবে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, তা নিয়ে সংসদীয় কমিটি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। তদন্ত কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে বলে মনে করেন সংসদীয় কমিটির কেউ কেউ।
মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানায়, মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, এমন তিন হাজারের মতো অভিযোগ তারা পেয়েছে। অন্যদিকে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, ১৭ হাজার শ্রমিক যেতে পারেননি। আসলে কতজন যেতে পারেননি, তা সুনির্দিষ্টভাবে বের করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। ৩০ জুলাই সংসদীয় কমিটির আবার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মন্ত্রণালয়ের কাছে কাগজপত্র চেয়েছেন, যাতে চিহ্নিত করা যায় কতজন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি। তাঁদের জন্য কী করা যায়, তা নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ গতকালের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, মুহিবুর রহমান মানিক, আবদুল মোতালেব, মহিউদ্দিন আহমেদ, নিজাম উদ্দিন হাজারী, মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও শাম্মী আহমেদ।