বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় আমরা ওই পরিকল্পিত নির্বাচন চাই না। নির্বাচন হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ।’
ওয়ার্কার্স পার্টির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ বুধবার দুপুরে বছরব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এ কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। সমস্ত দেশ সেই ভোটের কারণে উদ্বিগ্ন। সামনে আমরা কোন পথে এগোব। উন্নয়নের অভিযাত্রায় তো আমরা পৃথিবীর কাছে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি, এতে সন্দেহ নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীতে আজকে একজন স্বীকৃত নেতা, এতেও সন্দেহ নেই। কিন্তু যে প্রশ্নটি নির্বাচনকে সামনে রেখে এসেছে, আমরা সত্যিকার অর্থেই অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র–সমাজকে নিয়ে উন্নয়নের পথে এগোতে পারব কি না?’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘বিদেশি বন্ধুরা এই নির্বাচনকে সামনে রেখে খুব উদ্বিগ্ন। এমনকি মাঝেমধ্যেই তাঁরা স্যাংকশন (নিষেধাজ্ঞা) দেন, স্যাংকশনের হুমকি দেন। তাঁদের প্রতিমুহূর্তের কথা, বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হতে হবে। আমরাও বলি বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।’
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার কথা ভুলে গেলে চলবে না বলেও উল্লেখ করেন রাশেদ খান মেনন। তিনি দেশে সেনাশাসনের সময় বিদেশিদের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, ‘সেনাশাসন নতুন নতুন তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছিল। বিদেশি বন্ধুরা, যাঁরা আজকে অবাধ–নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করি, কোন প্রেসক্রিপশন আপনারা সেদিন দিয়েছিলেন?’
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের এই আমলে আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এই সময়কালে বাংলাদেশে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম একটা বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি, লুটপাট, টাকা পাচার, সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’ জামায়াত-বিএনপির তাণ্ডব দেখে ওয়ার্কার্স পার্টি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটে যোগ দিয়েছিল বলে জানান ফজলে হোসেন বাদশা।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য সুশান্ত দাস, মাহামুদুল হাসান, নুর আহমেদ, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কামরুল আহসান।