কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলছে সরকার। একই সঙ্গে সরকার কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ সমস্যা নিয়ে প্রথম আলো চারজন রাজনীতিকের অভিমত নিয়েছে। এখানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির অভিমত প্রকাশ করা হলো।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলন অত্যন্ত ন্যায্য। ২০১৮ সালে যদি সরকার একটি জাতীয় কমিশন করে সবার মতামত নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করত, তাহলে আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। এখন উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নেমেছেন। কোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রতা না করে সরকারের উচিত দ্রুত এটি সমাধান করা। এ ক্ষেত্রে সরকার যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে, উচ্চ আদালত সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন বলে মানুষ প্রত্যাশা করে।
২০১৮ সালে দাবি ছিল কোটা প্রথা সংস্কারের। ২০১৮ সালে আন্দোলনের মুখে সরকার যেভাবে সমস্যা সমাধান করেছিল, তাতে নতুন করে তা জটিলতা তৈরি করেছে। সংবিধানে সব নাগরিকের জন্য সমতা নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। আবার একই সঙ্গে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বিধান করার কথাও আছে। এটিও সমতা তৈরির অংশ। আর চাকরির বা নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগই সুযোগের সমতা সৃষ্টির প্রধান অবলম্বন। তবে বঞ্চিত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ভারসাম্য তৈরির প্রয়োজনীয়তা আছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের জন্য কোটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি নেই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও এই বিশেষ সুযোগ কতটা যৌক্তিক, সে প্রশ্ন উঠেছে।
ছাত্রদের এই ন্যায্য আন্দোলনকে সরকার দেখছে রাজনৈতিকভাবে। তারা এখানে বিরোধী দলের উসকানি খুঁজছে। জনগণের ভোটের ওপর দাঁড়িয়ে নেই বলে তারা যেকোনো আন্দোলনে ভয় পায়, উসকানি খোঁজে।
জোনায়েদ সাকি, প্রধান সমন্বয়কারী, গণসংহতি আন্দোলন