যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘বাড়িতে বাড়িতে কান্নাকাটি চলতেছে। আর বাইরে এসে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে বলছেন, এই সব স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা), রেস্ট্রিকশন (বাধানিষেধ) আমরা পরোয়া করি না।’
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পরোয়া না করলে সবাই সারা দিন এই ব্যাপারে (ভিসা নীতি) কথা বলছেন কেন? কেন আপনাদের টিভি চ্যানেলগুলি প্রতিদিন দুই-তিনটা পর্যন্ত এই বিষয়ে অনুষ্ঠান করছে? আপনাদের পছন্দের শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী নামধারীরা প্রতিদিন বিবৃতি দিচ্ছে কেন? আসলে আপনারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) ভয় পেয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) বক্তৃতায় যেসব কথা বলে, এগুলো নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না কেউ। বহুজনের ছেলে–মেয়েরা আমেরিকা যেতে পারছে না। বহু সরকারি কর্মকর্তারা ভিসার আবেদন নাকচ হচ্ছে। তারা যে বিপদে আছে, তা তো বোঝা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই ব্যাপারে (ভিসা নীতি) লজ্জিত। কারণ, আমরা এই দেশের নাগরিক। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, তাঁকে (খালেদা) সাজা দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে। একই প্রতিহিংসার কারণে তাঁর সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে এই সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর প্রবেশমুখে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীরা মূল সড়কে ত্রিপল বিছিয়ে বসে অবস্থান নেন। এতে সড়কের মাত্র একটি লেন ফাঁকা ছিল। ওই ফাঁকা অংশেও নেতা-কর্মীরা মিছিল-স্লোগান করে মহড়া দেন এবং দাঁড়িয়ে অবস্থান নেন। এ কারণে সমাবেশের পুরোটা সময় (শুরুর আগে বেলা ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত) ওই সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতারা বক্তব্য দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।