এবারের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই। কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তের পর আজ সোমবার দলটির সব প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় নির্বাচন হবে। ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও দলটির কেউ মনোনয়নপত্র নেননি বলে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন নেই। তবু প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের ২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ানোর পর জামায়াতের নেতারা তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শুরু করেন। অবশিষ্টরা আজ প্রত্যাহার করেন।
জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে যে শুরুতে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কিছুটা নমনীয় ছিল দলটি। জয়ের সম্ভাবনা আছে, এমন উপজেলাগুলোয় নির্বাচন করার ব্যাপারে দলের মাঠপর্যায়ে বার্তা ছিল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদে আলোচনার পর উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়। কার্যত বিএনপি ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনে না যাওয়ায় জামায়াতও সরে দাঁড়ায়।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, সবকিছু পর্যালোচনা করে জামায়াত উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। এরপরও কেউ প্রার্থী হলে, তাঁর বিষয়ে সংগঠন থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।