বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি—পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে জনগণের সঙ্গে তামাশা আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, জনদুর্ভোগের এই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ রকম পরিহাস করার কোনো অধিকার নেই।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে শনিবার গুলশানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষ যখন প্রতিমুহূর্তে কষ্ট করছে, হিমশিম খাচ্ছে এবং তাদের জীবন দুর্বিষহ হচ্ছে, সেই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন যে মানুষ বেহেশতে আছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি দুঃখিত, ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলছি। ইদানীংকালে ওনার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) যে চেহারা, সেই চেহারার মধ্যে যেটা ফুটে উঠেছে যে তিনি স্ফীত হয়েছেন। এবং বেশির ভাগ মন্ত্রীর যেটা হয়েছে, আমাদের দেশি ভাষায় বলি, চিটনাই (চর্বি) বেড়ে গেছে। তার কারণটা হচ্ছে প্রচুর লুটপাট হচ্ছে। সেই লুটপাটের কারণে তাঁরা জনগণের সঙ্গে পরিহাস, তামাশা শুরু করেছেন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, মন্ত্রী মহোদয় এর আগেও এমন এমন সব উক্তি করেছেন, যে উক্তিগুলো দেশের মানুষের কাছে কিছুটা হাস্যকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ওনার এ রকম পরিহাস করার কোনো অধিকার নেই।
গত শুক্রবার সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসন-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি। করোনার পর যুদ্ধে সারা বিশ্বে মন্দা ভাব আসছে। যুদ্ধের ফলে স্যাংশনের মুখে পড়তে হয়েছে। সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশে মন্দা এসেছে। আমরা সেদিক থেকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে আছি।’