অবিলম্বে শিক্ষাব্যবস্থার সিলেবাস ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। অন্যথায় দেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর আরামবাগে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত চতুর্থ নগর যুব সম্মেলনে এ দাবি জানান মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ইসলামী আদর্শ চর্চার পথ রুদ্ধ করতে একটি গোষ্ঠী সুকৌশলে পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় বিদ্বেষ সংযোজন করেছে। বিষোদ্গার করা হয়েছে মুসলমানদের ফরজ বিধান পর্দাসহ নানা বিষয় নিয়ে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই নাস্তিক্যবাদ মানসিকতা তৈরি করতেই এসব চক্রান্ত করা হচ্ছে।’
ইসলামবিদ্বেষীরা সুইডেনে পবিত্র কোরআনে আগুন দিয়ে বিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করেছে বলে উল্লেখ করেন ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘পবিত্র কোরআন পোড়ানোর মতো ন্যক্কারজনক কাজের অনুমতি দিয়ে সুইডেন সরকার বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সমালোচনা করে ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির বলেন, ‘বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী সৃজনশীল নাম দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এখন শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলামকে শেষ করার ষড়যন্ত্র করছেন।’ তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী পাঠ এবং ভুল ও বিতর্কিত কাল্পনিক মুখরোচক গল্প–গুজব বাদ দিয়ে নতুন পাঠ্যপুস্তকে পাঠদান করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষা সিলেবাস ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করতে হবে। অন্যথায় দেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
এদিকে ইসলামবিদ্বেষীরা সুইডেনে পবিত্র কোরআনে আগুন দিয়ে বিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করেছে উল্লেখ করেন ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘পবিত্র কোরআন পোড়ানোর মতো ন্যক্কারজনক কাজের অনুমতি দিয়ে সুইডেন সরকার বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের কৃষি ও শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি আবদুল আউয়াল মজুমদার, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) আরিফ বিন মেহের উদ্দিন প্রমুখ।