‘ডামি নির্বাচন’ ঘিরে সারা দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিরোধী দলহীন পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের এই নির্বাচনে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ নেই। সাধারণ মানুষকে জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এখন নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলে লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন। তাঁর দাবি, ভোটের উৎসবের বদলে এখন সর্বত্র আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা।
রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বকে তথাকথিত ভোটের উৎসব দেখানোর জন্য পাতানো ও সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু যাদের দেখানোর জন্য এত নাটক, এত তামাশা করা হচ্ছে, তারা সব দেখছে। গণতান্ত্রিক বিশ্বের চোখে ধুলা দিতে এত আয়োজন আখেরে কোনো কাজে আসবে না। ভোটের নাটক যতই করুক, কোনো লাভ হবে না।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এই পাতানো নির্বাচনের অন্যতম মদদদাতা হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশের নাম সর্বজনবিদিত। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীলতা চায়, বাংলাদেশের গণতন্ত্র-মানুষের অধিকার চায় না। এখন তাদের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর-১ আসন থেকে গত দুবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান নিজেকে ভারতের প্রার্থী দাবি করেন বলে উল্লেখ করেন রিজভী। বিএনপির এই নেতা বলেন, তাহলে বাংলাদেশ কি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ? রিজভী বলেন, আবদুল মান্নানের মতো আর কে কে ভারতের প্রার্থী, তার তালিকা প্রকাশ করা হোক।
রিজভী অভিযোগ করেন, নির্বাচন ‘জায়েজ’ করার জন্য সরকার আবারও পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করছে। তিনি বলেন, ‘সিটিটিসির কর্মকর্তা দাবি করেছেন, গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইন কেটে নাশকতার মূলে নাকি ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির। আর তিনি রেললাইন কাটার নির্দেশনা পান যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিনের কাছ থেকে। আমি পুলিশের মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’