বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান

বিএনপি নেতাদের আশাবাদ

নেতা–কর্মীরা ‘বুকে বল নিয়ে’ গণতন্ত্রের সংগ্রামে আসবেন

দেশের মানুষ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে সরকারের মুখে কলঙ্ক লেপে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তাঁরা আশাবাদ জানিয়ে বলেছেন, দলের নেতা–কর্মীরা ‘বুকে বল নিয়ে’ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে যোগ দেবেন।  

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের প্রচ্ছদপটে চির উদ্ভাসিত একটি নাম, রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। আগামীকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ভুয়া, নাটক ও প্রহসন বলেছে।  

আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বিশ্বের নামীদামি মিডিয়া নিউইয়র্ক টাইমস, রয়টার্স, গার্ডিয়ান, টাইম ম্যাগাজিন, বিবিসি, আল–জাজিরা কোথাও দেখতে পারেনি ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়েছে। তারা বলেছে, বাংলাদেশে একটি প্রহসন হয়েছে এবং একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত হয়েছে। বিএনপি নেতা–কর্মীরা ‘‘বুকে বল নিয়ে’’ গণতন্ত্রের সংগ্রামে আসবে। ইতিহাস প্রমাণ করে সত্যের জয় হবে, মানুষের জয় হবেই।’

বিএনপির নেতা–কর্মীদের লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। জনগণ পাতানো ভোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অথচ এই নির্বাচনকে দোহাই দিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা দখল করেছে।’

দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এই সরকার ভুয়া। কারণ, তারা প্রহসনের নির্বাচন করেছে। এখন তারা নিজেরাই মারামারি করছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, সরকার শত চেষ্টা করেও বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি। দলের আহ্বানে ৯০ শতাংশ মানুষ ডামি নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করায় বিএনপির প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অচিরেই এই সরকারের পতন হবে।

সাবেক চিফ হুইপ ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ২০১৪ সালে ‘অটো পাস’, ২০১৮ সালে রাতের ভোট ও ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচন’ হয়েছে। এই সরকার টিকতে পারবে না। কারণ, ভোটার ভোটকেন্দ্রে যায়নি।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।