জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন দিবস উদ্যাপন করবে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জোড়াতালি দিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটছে ‘মাফিয়া চক্র’। তবে তুমুল আন্দোলনে-জনজোয়ারে এই নির্বাচনী নাটক ভণ্ডুল হয়ে যাবে।
আজ শনিবার বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, সরকার একদিকে বলছে নির্বাচনে আসুন, অন্যদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীসহ আন্দোলনে সক্রিয় ও সাহসী নেতাদের টার্গেট করে বেছে বেছে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।
রিজভীর অভিযোগ, গত দেড় মাসে বিএনপির ৫৮২ নেতা–কর্মীকে প্রহসনের বিচারে দণ্ডিত ঘোষণ করা হয়েছে। আসামিদের অনুপস্থিতিতে অভিযোগ গ্রহণ ও কারাগারে বন্দী অবস্থায় আসামিকে সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শোনার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে দণ্ড ঘোষণা করা হচ্ছে। সব মামলার বাদী পুলিশ। প্রহসনের নির্বাচনের মতো ফরমায়েশি রায়ও দেওয়া হচ্ছে।
স্বৈরতন্ত্রের ক্রমাগত বিকাশ ঘটাতে ক্ষমতায় থাকার জন্য গোপনে ও প্রকাশ্য বহু বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। তাঁর অভিযোগ, গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে টার্গেট করে করে অর্থ এবং এমপি বানানোর প্রলোভনে কিংস পার্টি, ভুঁইফোড় পার্টিতে রাজনৈতিক নেতাদের ঢুকানো হচ্ছে। তবে কোনো নীতিবান, আদর্শবাদী, দেশপ্রেমী রাজনীতিককে তারা নিতে পারছে না।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, এ পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৩২৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময়ে ১৩টি মামলায় ১ হাজার ৪৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।