স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন) বলেছেন, ‘রাসেলস ভাইপার সাপ’ এ সরকারে চলে এসেছে। যখন সাপ আসে প্রকৃতিতে বেজিও থাকে। এই বেজি সাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারে বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার আছে, কিন্তু বেজি ওই পরিমাণ নেই যে সাপ ধরবে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সায়েদুল হক।
সায়েদুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। একজন ভদ্রলোককে দুদক ধরতে পারেনি। এনবিআর ধরতে পারেনি। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট ধরতে পারেনি। আর এনবিআরের মতিউর রহমানকে ধরল একটা ছাগল। ছাগল না এলে এই লোককে আর জানতে পারতেন না।’
এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। তিনি কত বড় হয়ে গেলেন; মন্ত্রণালয় জানল না, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানলেন না। এই বাচ্চাটা এত বড় হয়ে গেল, আর কিছুদিন সুযোগ পেলে পুরো গোপালগঞ্জ কিনে ফেলত। তারপরও বলব, এর দায় এই মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।’
সায়েদুল হক বলেন, ‘মুদ্রা সংকোচন নীতি করতে গিয়ে এমপিদের ওপরও সংকোচন শুরু হয়ে গেছে। আমাদের গাড়ির ওপর ২০ শতাংশ কর চলে এল। কাদের সাথে আমরা তুলনা করব। আমার এলাকার সব সরকারি কর্মকর্তার গাড়ি আছে। তাদের নতুন নতুন গাড়ি দেওয়া হয় আর আমাদের কিনতে হয়।’
সায়েদুল হক বলেন, তিনি ইতিমধ্যে শুল্কমুক্ত গাড়ি পেয়েছেন। তিনি যেহেতু পেয়েছেন, অন্যরা না পেলে তা বৈষম্য হয়। তবে যদি দেশের স্বার্থে শুল্ক বসানোর প্রস্তাব পাস হয়, তাহলে তিনি করের টাকা জমা দিয়ে আসবেন।
সায়েদুল হক বলেন, ‘এই সংসদে আমার বিরুদ্ধে একজন মাননীয় সংসদ সদস্য অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বরাদ্দের তথ্য ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছি। ২৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আমি যত বরাদ্দ পেয়েছি, এমপি হিসেবে তার ট্রাস্টি আমি। এই টাকা জনগণের। জনগণের এটার বিষয়ে জানার অধিকার আছে। আপনি যে বরাদ্দ পাবেন, নতুন প্রজন্ম তা জানতে চায়। সেটা জানার অধিকার জনগণের আছে।’
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে
অনুমতি পেয়েও যে বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরও মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিন হাজারের বেশি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করবেন। যাঁরা এ পরিস্থিতি তৈরির জন্য প্রকৃত দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বলেন, সমগ্র জাতি ও বিশ্ব সেন্ট মার্টিনের দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি আশা করেন, সেন্ট মার্টিনের পরিস্থিতি নিয়ে কেউ না কেউ কিছু বলবেন; সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মানুষের আতঙ্ক দূর করবেন।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের সরকারি চাকরি হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক, তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও, সংসদ সদস্যরা নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপারিশ পাঠালেও তাঁদের চাকরি হয় না। বিপুলসংখ্যক চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, বিএনপি-জামায়াতের চাকরি হয়।