গত কয়েক দিনে নেতা-কর্মীদের যে স্পিরিট ছিল, সেটা অব্যাহত থাকলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির অবরোধের নেতৃত্ব দেবে কে, প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাদের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ থেকে ফিরে গিয়ে বলছেন, এই দল ভুয়া। তাই তাদের নেতা-কর্মীরা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারেক রহমান ভুয়া, ফখরুল ভুয়া। কেউ কেউ কান ধরে দলে ছাড়ার কথা বলছেন। বিএনপির সবকিছু ভুয়া।
আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের দলীয় সংসদ সদস্য এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এ যৌথ সভা করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পুলিশের একজন সদস্যকে কীভাবে হত্যা করেছে। এটা দেখুন। কত ভয়ংকর তারা। এটাই হলো তাদের আসল চেহারা। গাজায় যা হচ্ছে, তার চেয়ে ভয়ংকর। বিএনপি সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে, কিন্তু এটা কেন? সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি খেপল কেন। সাংবাদিক যা দেখেন, তা লেখেন। যাঁরাই নিরপেক্ষভাবে সংবাদ লেখেন, তাঁরাই বিএনপির চোখে অপরাধী।
নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিবিহীন নির্বাচন করব, এটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে এল, আর কে এল না, তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা নির্বাচন চায়, তারা কখনো এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না।’
পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে বলছে, তারা সমাবেশ করলে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ করে। বিএনপি তো নাশকতা করে কিন্তু আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ করে না, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করে।
শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করে টিকে থাকার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ ৩০ অক্টোবর আমরা আছি। বিএনপি বলেছিল, তারা এদিন নতুন সরকার গঠন করবে। বিএনপির বেঁধে দেওয়া ২৮ ও ২৯ অক্টোবর গেল, আমরা কিন্তু আছি। ফখরুল সাহেব ছাড়া বিএনপির সব নেতা পালিয়ে আছে। তাদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।’
নেতা-কর্মীদের কাউকে ধৈর্য না হারাতে আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সবাই শান্তভাবে ছিলেন। ২৮ তারিখে রাত ১০টার পরে মাঠে ছিলেন। সেদিন আমরা বিজয়ীর মতো পরিবেশেই ছিলাম। সামনে নির্বাচন, আমরা বিজয়ের দিকে যাচ্ছি।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সহদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।