কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। সরকার কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে দেবে না।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোববার রাতে কোটা আন্দোলন থেকে রাষ্ট্রবিরোধী নানা ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই দেশে রাজাকারের পক্ষে স্লোগান দেওয়া রাষ্ট্রবিরোধী। একই সঙ্গে সেখানে সরকারবিরোধী ও প্রধানমন্ত্রীবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে যে কোটা আন্দোলনে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে, বিএনপি-জামায়াতসহ যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তারা ঢুকেছে এবং তাদের প্ল্যান্টেড কিছু মানুষ এর নেতৃত্ব দিচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্লোগান ও বক্তব্যে এটা প্রমাণিত যে এটা কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়, এটিকে রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু নেতা, বিএনপি-জামায়াত ও অন্যরা সেখানে ইন্ধন দিচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘আদালতে বিচারাধীন কোনো বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির পর যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সরকারকে সেভাবে কাজ করতে হবে। আপনারাসহ যাঁরা আইন ও সংবিধান জানেন, তাঁরা সবাই এটি বোঝেন। অথচ তারপরও এই আন্দোলন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সরকার, অনেক শক্তিশালী সরকার। কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে নিয়ে খেলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না।’
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের ফরেন অফিস কনসালটেশনের অগ্রগতি, চাকরি নিয়ে সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ টাস্কফোর্স, সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের নিজ নামে ব্যবসা নিবন্ধন, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৩০০ একর জমিতে সৌদি বিনিয়োগসহ দেশের অর্থনৈতিক খাতে সৌদি সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’