রাজধানীর পুরানা পল্টনে সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা
রাজধানীর পুরানা পল্টনে সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি সিপিবির

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অগ্রাধিকার দিয়ে মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ করতে হবে বলে মনে করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সিপিবি বলেছে, বৈষম্যবিরোধী গণ–আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে ভাঙচুর, লুটপাট ও নয়া দখলদারত্ব সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন সিপিবির নেতারা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার দাবিতে সিপিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে শহীদদের রক্ত ও গণ–অভ্যুত্থান বৃথা যেতে দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন সিপিবি নেতারা।

সিপিবি নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, তাদের বিচারকাজ দ্রততার সঙ্গে শুরু করতে হবে।

সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার চায়। শহীদের রক্তের পথ ধরে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধি জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সব বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজের প্রতি দেশের জনগণের সদা সতর্ক দৃষ্টি থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব এলাকায় গণমানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের কথা বলেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ ক্বাফী। তিনি বলেন, যেসব বাহিনী জনতার বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে, নারকীয় নির্যাতন করেছে, সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন সরকারকে সব শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর এবং আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান আবদুল্লাহ ক্বাফী।

গণ–আন্দোলন বৈষম্যের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের পক্ষে উল্লেখ করে সিপিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বহুত্ববাদী সমাজের চেতনা আক্রান্ত হয়, এমন কোনো ধরনের কাজই গণ–আন্দোলনের চেতনাবিরোধী।

এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন।

রাজধানীর মণি সিংহ সড়কে ট্রাকে নির্মিত মঞ্চে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে একটি লাল পতাকার মিছিল নগরীর নূর হোসেন চত্বর, গুলিস্তান ঘুরে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।