তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বাঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্চতা আর তাঁর সরকারের প্রতি বিশ্বাঙ্গনের সমর্থন কোন জায়গায়, সেটি নিশ্চয়ই বিএনপি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে। সেটি না করতে পারলে বিএনপি ভুল করবে।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরের শেষ পর্যায়ে এখন যুক্তরাজ্যে রয়েছেন, ৯ মে তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তাঁর এই সফর অত্যন্ত সফল। জাপান আমাদের নানা প্রকল্পে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার চুক্তি সই করেছে। বিশ্বব্যাংক শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আর যুক্তরাজ্যের নতুন রাজার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজা চালর্সের সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দেখা করে বলেছেন, শেখ হাসিনা তাঁর ‘আইডল’। শুধু তাঁর নয়, তাঁর মেয়েদেরও ‘আইডল’।
হাছান মাহমুদ বলেন, এই সফরে বিশ্বনেতারা ও গণমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি সুন্দর নির্বাচন করার ঐকান্তিক ইচ্ছার কথা এবং সব পর্যবেক্ষককে নির্বাচন দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আর সেই সময় বাংলাদেশে বিএনপির নেতারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে। আসলে বিএনপি দেশে গণতন্ত্র চায় না। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে পারে কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করা কিংবা ঠেকিয়ে দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর সুযোগ নাই। এ দেশের মানুষ বিএনপিকে সেই সুযোগ দেবে না।
বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচনে অংশ নেবে না, বলে যে ঘোষণা দিয়েছে, সে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অবশ্যই চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি অতীতের মতো নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়াক, সেটি আমরা চাই না। বিএনপির শরিকরা আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করছে, তার অর্থ হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন না চাইলেও শরিকরা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে শরিকরাও বিএনপি থেকে পালিয়ে যাবে।
সাংবাদিকরা এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের পাওনা বঞ্চিত করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, যেভাবেই হোক তিনি নোবেল লরিয়েট এবং একজন নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা মামলা করেছে, অন্য কেউ নয়। এ রকম একজন নোবেল লরিয়েট শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেননি এবং বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও বুঝিয়ে দেননি। বরং অসাধু উপায়ে সেটির সুরাহা করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন এসব গুরুতর অভিযোগ। এগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক। এগুলো আসলে নোবেল পুরস্কারকে কলংকৃত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদন খারিজ করে আদালত বলেছেন, মামলা চলবে। আশা করব, মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই তাঁর পক্ষ থেকে পাওনা পরিশোধ করে দিয়ে বিষয়টি ফয়সালা হবে।’