সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে আওয়ামী লীগের কিছু আসে–যায় না

যাত্রাবাড়ীতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের একাংশ।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে। ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র কাকে ভিসা দিল, কাকে দিল না, তাতে আওয়ামী লীগের কিছু আসে–যায় না। বিশ্বায়নের যুগে এক দেশ আরেক দেশকে ছোট করে বড় হতে পারবে না। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মাঠে আছেন, থাকবেন। বিএনপির কথায় সরকার পদত্যাগ করবে না। আওয়ামী লীগ জনরায় নিয়ে ক্ষমতায় থাকবে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আজ সোমবার বিকেলে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা মাঠে আছি, থাকব। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারে আছে এবং থাকবে, জনরায় নিয়েই থাকবে।’

সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিএনপি বলছে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হলে তারা দেশ অচল করে দেবে। আমি বলতে চাই, আপনারা যতই হুমকি দেবেন, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা তত বেশি সুসংগঠিত হবেন।’

সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর

আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে। যারা জয়লাভ করবে, তারাই ক্ষমতায় যাবে। ভণ্ডুলের চেষ্টা করলে রাজপথে মোকাবিলা করা হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, ‘এই বাংলার জনগণ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। বিএনপির কথায় আমরা কেউ ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নই।’

সমাবেশের মঞ্চে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর

ভিসা নীতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘আজ তারা (বিএনপি) উল্লাস করছে। বিএনপিকে বলি, যাদের কথায় আজ তোমরা পুতুলের মতো নাচছ, তারা তোমাদের মজা করার জন্য নাচাচ্ছে।’ এই বিশ্বায়নের যুগে এক দেশ আরেক দেশকে বাদ দিয়ে, ছোট করে কোনো দেশ বড় হতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভিসা নীতি নিয়ে এত পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তালিকায় বিরোধী দলের নেতাদের নামও আছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি সব সময় ছিল। তাদের ভিসা নীতির একটি ধারা অনুযায়ী এই নীতি তারা সব সময় প্রয়োগ করে আসছে সবার ক্ষেত্রে। এখানে শুধু আমাদের খোঁচাখুঁচিতে একটু ঘোষণা হয়েছে মাত্র। আর যুক্তরাষ্ট্র কারে ভিসা দিল, কারে ভিসা দিল না, এতে আমাদের কিছু আসে যায় না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। যথাসময়ে নির্বাচন হবে। আশা করব, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করবে না। যদি তারা নির্বাচন বর্জনও করে, বিএনপি দেখতে পাবে তাদের নেতারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ফাইনাল খেলার আগেই দেখবে দলের মধ্যে খেলোয়াড় নাই। খেলোয়াড় সবাই অন্য দলে যোগদান করেছে। কিংবা নতুন প্ল্যাটফর্ম করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।’

এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূরুল আমিন। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।