‘অপপ্রচারের’ জবাব দেওয়া এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচার—এ দুই লক্ষ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও সক্রিয় হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। ক্ষমতাসীন দলটির উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এক বৈঠক করেন। এতে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ ও যুব মহিলা লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ভাগনে এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতও বক্তব্য দেন।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের প্রচার সেল এবং সিআরআই সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতে নানা পরিকল্পনা করেছে। তারা প্রাথমিকভাবে তাদের প্রচারণা এবং বিরোধী দলের বক্তব্যের জবাব দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাজ করছে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, দেশ ও বিদেশ থেকে বিএনপি ও বিভিন্ন দলের সমর্থকেরা সরকারের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছেন। এসব অপপ্রচারের জবাব সেভাবে দিতে পারছে না আওয়ামী লীগ। সে কারণে সহযোগী সব সংগঠনকে তাদের নিজ নিজ উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার ও আওয়ামী লীগ যেন পিছিয়ে না থাকে, সেই চিন্তা থেকে সহযোগী সংগঠনগুলোকেও সক্রিয় করার কথা এসেছে।
সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিজ নিজ সংগঠন থেকে সাইবার জগতে অপপ্রচারের জবাব দিতে দ্রুত পরিকল্পনা করে কাজ শুরু করতে হবে, এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বুধবার গণভনের বৈঠক থেকে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব পর্যায়ের নেতারা যেন প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা সময় কাটান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, এমন নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের দুজন নেতা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তাঁদের নেতা–কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের পক্ষে প্রচারণায় সক্রিয় রয়েছেন। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে সেটা হচ্ছে না। এখন তাঁরা সাংগঠনিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হওয়ার পরিকল্পনা নেবেন।