বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সাইফুলকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ

দেশে গুমের শিকার পরিবারগুলোর সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম ও বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের ভাই সাইফুল ইসলামকে (শ্যামল) তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর শাহীনবাগে তাঁদের বাসা থেকে গত সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে সেনাসদস্যরা তাঁর ভাই সাইফুলকে তুলে শেরেবাংলা নগর এলাকার সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যান। বিকেল পাঁচটায় তাঁকে আবার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে যান। সেদিনই আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইফুলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছিল। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

সাইফুলকে তুলে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রায় এক যুগ আগে গুম হয়েছেন বিএনপি নেতা সাজেদুল হক সুমন। গুম হওয়ার পর তাঁর পরিবার মানসিকভাবে বিপদগ্রস্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত। গুম হওয়ার এত বছর পর আবারও গত ৩০ সেপ্টেম্বর ‘সেনাবাহিনীর পরিচয়ে’ তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাজেদুল হকের ভাই সাইফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পরিবারটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, অভিযান পরিচালনাকারীরা মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলিসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গালিগালাজ ও চরম অশালীন আচরণ করেন। তাঁরা বাসার ছোট শিশুর সঙ্গেও অমানুষের মতো আচরণ করেন। বর্তমানে দেশ পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দয় শাসন-শোষণ থেকে মুক্তি পেলেও সাইফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দেশবাসী শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই পরিবারকে হয়রানি করা মানে বিপদগ্রস্ত একটি পরিবারের সঙ্গে রসিকতা। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় নির্যাতিত সাইফুল ইসলাম। তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হলেও কোন অপরাধে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়। প্রশাসনে এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা বহাল তবিয়তে কাজ করছে বলেই দেশে নতুন করে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এসব আওয়ামী দোসরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর পড়বে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর নির্মম দুঃশাসন থেকে মুক্ত হয়ে জনজীবনে যে স্বস্তির বাতাস বইছে, সেটিকে নির্মূল করতেই এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।