রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ সোমবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ সোমবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী

বাংলাদেশ আজ অত্যাচারী শাসকের পদতলে পিষ্ট: রিজভী

‘বাংলাদেশ আজ অত্যাচারী শাসকের পদতলে পিষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, এরা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি লুটপাটসহ মানুষের সহায়-সম্পদ আত্মসাৎ করে, গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সরাসরি জনগণকে প্রতারিত করেছে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী নেতাদের অনেকেই বলেছেন, ‘দেশে বিত্তশালীদের সংখ্যা বেড়েছে, যারা মূলত বেনজীর শ্রেণির (সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ)। প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিত্তশালী কারা?’ তিনি বলেন, এই বিত্তশালী শ্রেণি হচ্ছে বেনজীর শ্রেণি—যারা বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম-খুন করে, প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। এ ছাড়া মেগা প্রজেক্ট ও অবাধে ব্যাংক লুটের কথা এখন কল্পকাহিনিতে পরিণত হয়েছে, যা অতি বাস্তব। এটাও বাস্তব সত্য যে দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতার উচ্চপর্যায়ের দিকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতারা নিখুঁত ধূর্ততায় জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে বিরতিহীন ডাহা মিথ্যার আবর্তে জনগণকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত দেড় দশক ধরে জনগণের পকেট কাটার কারণে দেশে এখন হাহাকার পড়েছে। অনাহার-অর্ধাহারে ক্ষুধার্ত মানুষ এবারের ঈদে চরম দুর্দশার মাঝে দিন কাটিয়েছে। বাজারে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতির কারণে ভাত-তরকারি জোগাড় করা যেখানে কষ্টকর, সেখানে ঈদের পোশাক কিনবে কীভাবে? ঢাকায় ধনীদের কেনাকাটা বাড়লেও নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। কাপড় ব্যবসায়ীরা শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি তাঁদের টার্গেটের অর্ধেকও বিক্রি করতে পারেননি। অনেক ব্যবসায়ী ঈদের প্রাক্কালে বাকিতে কাপড় নিয়ে বিক্রি করার পর সে টাকা পরিশোধ করেন। এখন তাঁদের কপালে হাত।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, বিএনপি নেতা আনোয়ার পারভেজ ও সাঈদ হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ জানান। তিনি তাঁদের নামে দায়ের করা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক সরফুদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, তারিকুল আলম প্রমুখ।