রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন। প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এখনো মঞ্চে আসেননি।
কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম পাশে বানানো হয়েছে মঞ্চ। বিএনপির নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে কলেজ রোড হয়ে পূর্বপারের গেট দিয়ে সমাবেশস্থলে ঢুকছেন। বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে পূর্বপাড়ার সামনে চলমান বাণিজ্য মেলা আজ স্থগিত করা হয়েছে।
৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামিউল ইসলাম বলেন, নেতা–কর্মীদের ভ্যানে, অটোরিকশায় আসতে কষ্ট হয়েছে।
দিনাজপুর সদর থেকে মোটরসাইকেলে করে গতকাল শুক্রবার রাতে নেতা–কর্মীরা এসেছিলেন। সঙ্গে দুটি পিকআপ ভ্যানেও বিএনপির কর্মী ও সমর্থকেরা ছিলেন। দিনাজপুর জেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, সেখানে ১৩ উপজেলায় বিএনপির ২২টি সাংগঠনিক কমিটি আছে। বিএনপির কর্মী মনোয়ার বলেন, তাঁরা দিনাজপুর থেকে মোটরসাইকেল ও দুটি পিকআপ ভ্যানে গতকাল রাতে রংপুর এসেছেন। চিরিরবন্দরে ভ্যান দুটিতে পুলিশ বাধা দেয়। পরে অবশ্য তাঁরা আসতে পেরেছেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও দিনাজপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম থেকে নেতা–কর্মীরা ট্রেনে সমাবেশস্থলে এসেছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসাইন কায়কোবাদের নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল সকালে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কুড়িগ্রামের বেশির ভাগ নেতা–কর্মী গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল রংপুরে এসেছেন। গতকাল নেতা–কর্মীরা রবার্টসন স্কুল মাঠে রাত কাটিয়েছেন। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের চিলমারী, রাজারহাট, যাত্রাপুর, উলিপুরের নেতা–কর্মীরা নদীপথে তিস্তা পর্যন্ত এসে পরে মিছিল নিয়ে রংপুর শহরে এসেছেন।
সমাবেশস্থলের সামনেই সকাল নয়টার দিকে শুয়ে ছিলেন বেশ কিছু নেতা–কর্মী। তাঁদের একজন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম। রবিউল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ২৫০ থেকে ৩০০ নেতা–কর্মী আজ ভোরে তিনটি ট্রাক ও একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছেন। রংপুরে প্রবেশপথে পুলিশ তাঁদের বাধা দিলেও পরে ছেড়ে দিয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মাঠে নেতা–কর্মীদের উপস্থিতি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। কালেক্টরেট মাঠ এবং এর আশপাশের এলাকা ছাপিয়ে আজ রংপুর সমাবেশের শহরে পরিণত হবে।