যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করবে, তাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। সরকারের সব খাতে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপাসনের কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের মতবিনিময় শেষে রাশেদ খান এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে সংশয় প্রকাশ করে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার যদি গণহত্যার বিচার করবে, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাদের ধরতে অভিযান না চালিয়ে বরং পালিয়ে যেতে কেন সহায়তা করল? ওবায়দুল কাদের কীভাবে পালাল, এর কোনো তদন্ত হবে?’
সরকারের উদ্দেশে রাশেদ খান বলেন, ‘আপনি একদিকে তাদের (আওয়ামী লীগ) ধরবেন না, আবার গণহত্যার বিচারের গান শোনাবেন, এভাবে রাষ্ট্র সংস্কার হয় না। সাহস থাকলে আগে আওয়ামী লীগকে ধরুন, তাদের নিষিদ্ধ করুন। কিন্তু আপনারা সেসব না করে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠনেই বেশি সময় দিচ্ছেন। এখনো কেন শহীদের তালিকা হলো না, পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ পেল না, আহতরা কেন সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ পেল না? আপনারা আসলে কী করতে চাচ্ছেন, পরিষ্কার করুন।’
রাশেদ খান আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা ছিল অন্তর্বর্তী সরকার একটি রোডম্যাপ (পথনকশা) প্রকাশ করবে; কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকার দলগুলোকে ধোঁয়াশার মধ্যে রাখায় সন্দেহ–সংশয় তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে উপদেষ্টাদের নানামুখী বক্তব্য, পেছন থেকে নতুন দল গঠনে সহযোগিতা, সেই দলে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের সহযোগিতা চাওয়া, সরকারের সব খাতে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের পুনর্বাসন করা, আওয়ামী তালিকার ডিসি-এসপি নিয়োগ, আওয়ামী হাইকমান্ডের কাউকে গ্রেপ্তার না করা, শেখ পরিবারকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে হতাশ করেছে।
রাশেদ খানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মতবিনিময়ে অংশ নেয়। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা উপস্থিত ছিলেন।