৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণে ‘শ্রমিক-কর্মচারী কনভেনশন’ করতে চায় বিএনপি। নাট্যমঞ্চের বাইরে ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারী সম্মেলনের অনুমতি চেয়ে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠি দেয়। সিটি করপোরশন অনুমতি দিলেও ডিএমপি এখনো দেয়নি।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে আজ বুধবার সকালের দিকে মহানগর নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণে সম্মেলন অনুষ্ঠানে আপত্তি জানানো হয়। মৌখিকভাবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সম্মেলন অন্যত্র স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। সিটি করপোরেশন ও ডিএমপিতে দেওয়া চিঠিতে সংগঠনটি বলে, দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মজুরি কমিশন, জাতীয় বেতন স্কেল ও ন্যূনতম মজুরিসহ শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে তারা এই শ্রমিক-কর্মচারী সম্মেলনের আয়োজন করছে। এতে ডান, বাম ও মধ্যপন্থী ১৫টিরও বেশি শ্রমিক সংগঠনের ১০ হাজারের বেশি প্রতিনিধি অংশ নেবেন। বিশিষ্ট শ্রমিক নেতারা সম্মেলনে অতিথি হিসেবে থাকবেন। সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
‘ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, বাঁচার মতো মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন’ স্লোগানে এই সম্মেলন হবে। সম্মেলনের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, এই সম্মেলন আয়োজনে পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ১৫ দিনের বেশি সম্মেলনের স্থান নিয়ে জটিলতায় ভুগতে হয়েছে। যেখানেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে সেখানেই বাধা দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মহানগর নাট্যমঞ্চের বাইরে সম্মেলনের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এখন পুলিশ প্রশাসন সেখানে সম্মেলন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে গড়িমসি করছে।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তাদের সমাবেশ করতে না করিনি। তবে যেহেতু ওই দিন একই সময় কাছাকাছি জায়গায় আওয়ামী লীগের একটি কর্মসূচি আছে, সে কারণে দূরত্ব রেখে কর্মসূচি পালন করতে বলেছি।’