চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর কাছে তাঁর স্ত্রীর তুলনায় স্বর্ণালংকার বেশি রয়েছে।
আবু রেজার সোনার পরিমাণ ৯০ ভরি। পক্ষান্তরে স্ত্রী রেজিয়া নদভীর সোনা রয়েছে ৫০ ভরি। সোনার মতো অন্যান্য খাতে এই সংসদ সদস্যের আয়ও বেড়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং আগের দুটি নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিল করা হলফনামার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবু রেজা। এরপর ২০১৮ সালেও তিনি আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে জমা দেওয়া প্রথম হলফনামায় আবু রেজা তাঁর নিজের নামে ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার দেখান। বিয়েতে উপহার হিসেবে এই সোনা পান বলে জানান তিনি। একই সময়ে তাঁর স্ত্রীর নামে সোনা দেখানো হয় ১০ ভরি।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও দুজনের সোনার পরিমাণ একই দেখানো হয়। তবে এবার আবু রেজার সোনার পরিমাণ বেড়ে ৯০ ভরি হয়েছে। স্ত্রীর সোনাও বেড়ে হয় ৫০ ভরি।
আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবু রেজার আয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৪২ টাকা। তবে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। ২০১৮ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা খাতে তিনি তাঁর আয় দেখান ২৫ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৬ টাকা। এ ছাড়া সংসদ সদস্য পদে মোট আয় হয় ২৩ লাখ ১৫ হাজার ৭০৭ টাকা।
আবু রেজার ব্যাংকে জমা রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে ১৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। তাঁর ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকার স্থায়ী আমানত দেখানো হয়েছে। পক্ষান্তরে স্ত্রীর স্থায়ী আমানত দেখানো হয়েছে ১৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঋণও দেখানো হয়েছে এবারের হলফনামায়। এবার বাড়িভাড়া বাবদ আয় দেখানো হয়েছে পাঁচ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে বাড়িভাড়া বাবদ আয় ছিল চার লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবু রেজা বলেন, ‘ট্রাস্টি চেয়ারম্যান হিসেবে আমি একটা সম্মানী পাই। তবে তা–ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে নয়। সৌদি একটা অনুদান থেকে এই সম্মানী দেওয়া হয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার সম্পদ বাড়েনি, স্বর্ণালংকার কিছুটা বেড়েছে। উকিলরা যেভাবে পূরণ করেছেন সেভাবে আছে।’
আবু রেজার নামে কোনো মামলা নেই।