সরকার নির্বাচন নিয়ে ভয়ানক ষড়যন্ত্র করছে: জাফরুল্লাহ

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্তে আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে এক আলোচনা সভা
ছবি: আশিকুজ্জামান

সরকার নির্বাচন নিয়ে ভয়ানক ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে তিনি ফেলানী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের সড়কের নাম ফেলানীর নামে করার আহ্বান জানান।

আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্তে আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এবার আর রাতে ভোট হবে না। এবার সরকার আরেক প্রস্তুতি নিয়েছে। ভোট আর রাতে হবে না, ভোরেই সরকারের পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যরা মিলে ৬০-৭০ ভাগ করে ফেলবে। পরে ৯টার পর ভোট শুরু হবে। এটি কি আমরা মেনে নেব? যদি আমরা না মানি, তবে আমাদের লক্ষাধিক স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোট পাহারায় বসাতে হবে।’

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বলছি দলীয় সরকারের অধীনে ভোট হবে না। সরকার যে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তার কোনো প্রমাণ কি আমরা জোগাড় করেছি?’ তিনি আরও বলেন, ‘এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি বানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যিনি সরকারের মিষ্টিভাষী ও দীর্ঘদিন সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন। রাজনীতিবিদের তো বিবেক আছে।

কিন্তু একজন আমলার বিবেক থাকে না। এইচ টি ইমামের জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে। এভাবেই তারা এগোচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াতের উচিত হবে তাদের পূর্বপুরুষেরা যে অন্যায় করেছে, তার জন্য জাতির সামনে ক্ষমা চেয়ে আন্দোলন শুরু করা।’

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ফেলানী হত্যায় আমাদের উচিত হবে ভারতকে চেনা। তারা আমাদের সব দুর্ভোগের কারণ। এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের উচিত হবে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের সড়কের নাম ফেলানীর নামে করা।

যেন তারা বারবার বুঝতে পারে যে তারা অন্যায় করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের কারণেই আমাদের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এখন সমস্যা শুরু হয়েছে। দশ লাখ রোহিঙ্গা তাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে ১৫ লাখে পৌঁছেছে। এমন নানা ও দুর্ভোগ ভারত সৃষ্টি করে।’

সংগঠনটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জালাল হায়দার,  ডেইলি নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।