জামায়াতে ইসলামী বলেছে, সরকারের বাড়াবাড়ি, সীমা লঙ্ঘন, সংবিধানের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন, সীমাহীন দুর্নীতি ও আর্থিক কেলেঙ্কারি দেশে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আজ দেশে যেন কোনো সরকার নেই। ক্ষমতাসীনদের প্রতি হুমকি-ধমকি না দিয়ে দ্রুত পদত্যাগ করে দলনিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ শনিবার জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরায় গৃহীত প্রস্তাবে এ কথাগুলো বলা হয়। সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মজলিশে শুরার এ সভায় দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক লুটপাট ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।
গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, দীর্ঘ ১৪ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মৌলিক মানবাধিকার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের নির্বাচনব্যবস্থা দলীয় স্বার্থে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করে। এটাকে কোনো নির্বাচন বলা যায় না। ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগের রাতে কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতি করে আবারও ক্ষমতায় আসে। সারা দুনিয়ায় এটি মধ্যরাতের নির্বাচন বলে পরিচিতি লাভ করে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো একটি প্রহসনে পরিণত হয়।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, আবারও বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার নেশায় আওয়ামী লীগ অস্থির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দলনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতের মজলিশে শুরা।